শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৩৩ অপরাহ্ন

ভালুকার গণমানুষের নেতা এম এ ওয়াহেদকে সংসদ সদস্য হিসেবে দেখতে চায় সাধারণ জনতা

আবুল বাশার শেখ, ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:: ভালুকা উপজেলার গণমানুষের নেতা আলহাজ্ব এম ওয়াহেদ মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে চান। তৃনমূলের নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় জাতির জনকের আদর্শকে আকড়ে ধরে থাকতে চান তিনি। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভালুকার সাধারণ জনতা আজীবন সংগ্রামী ত্যাগী জননেতা দানবীর ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আলহাজ এম এ ওয়াহেদকে সংসদ সদস্য হিসাবে দেখতে চায়।

ময়মনসিংহ-১১ ভালুকা আসনে ১১ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে মোট ভোটার সংখ্যা ৩৬১৪৬৩ জন। পুরুষ ভোটার ১৮৩০১৯জন, মহিলা ১৭৮৪৪২ জন, ভোট কেন্দ্র ১০২ টি। তিন শতাধিক শিল্প প্রতিষ্ঠান অধ্যুষিত নব্য শিল্পনগরী ভালুকা বাংলাদেশের বার্ষিক জিডিপিতে উল্ল্যেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। বংলাদেশের উৎপাদিত মিঠাপানির মাছের উল্লেখযোগ্য অংশ ভালুকায় চাষ হয়। শিল্পাঞ্চল হওয়ায় সারাদেশের বিভিন্ন স্থানের প্রায় ২০ লক্ষ লোক ভালুকায় বসবাস করেন। যে কারনে এ আসনটি দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ন আসনগুলোর একটি।

সাধারণ জনগণের জন্য ব্যতিক্রম সব কর্মকান্ড করে সারা ময়মনসিংহের আলোকিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন ভালুকার কৃতি সন্তান, বিশিষ্ট দানবীর, সমাজসেবক, আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ী ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আলহাজ্ব এম ওয়াহেদ। তিনি একই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য, ভালুকা আঞ্চলিক শাখা জাতীয় শ্রমিকলীগের উপদেষ্টা, বঙ্গবন্ধু পরিষদ ময়মনসিংহ জেলা শাখার উপদেষ্টা হিসাবে নিষ্ঠা ও সততার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান এমএ ওয়াহেদ ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী হিসেবে আওয়ামী রাজনীতিতে পথ চলতে শুরু করেন। ১৯৭৯-৮২ সময়কালে ভালুকা উপজেলার আংগারগাড়া ইউনাইটেড উচ্চ বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের মধ্যদিয়ে সরাসরি ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসেন। এরপর ১৯৮৪-৮৫ সালে ডাকাতিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি হন। আনন্দমোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে পড়ার সময় তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় কর্মী হিসেবে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নেন।

স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী ও ১৯৯০ সালে নির্বাচনের পর খালেদা জিয়া বিরোধী বিভিন্ন সময়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন ভালুকার গনমানুষের নেতা আলহাজ্ব এম এ ওয়াহেদ ২০০২ সালে। বিএনপি সন্ত্রাসীদের হাতে আহত, দলীয় নেতাকর্মীদের বিভিন্ন ভাবে সহায়তা প্রদান করেন এবং দলীয় নেতাকর্মীদের মামলা মোকদ্দমায় আর্থিক ভাবে সহায়তায় তাদের পাশে দাড়ান। সকল সময় তিনি আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন এবং এখনো আছেন।

আলহাজ্ব এম এ ওয়াহেদ এমন একজন মানুষ যিনি রাজনীতি করেন শুধু মানুষের কল্যান করার জন্য, মানুষকে সেবা দিবার জন্য, বিপদে পাশে দাড়ানোর জন্য। ব্যক্তি জীবনে তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী। রাজনীতি করে টাকা কামানোর কোন প্রয়োজন পড়বেনা তার। বর্তমানে তিনি মন্ত্রী নন, এমপি নন তবুও যেন তিনি ভালুকার মানুষের প্রান। নেই কোন অহংকার, সদা হাস্যোজ্জল, বিনয়ী, একজন সাদা মনের মানুষ আলহাজ্ব এম এ ওয়াহেদ। তার কাছে গেলে কখনো কাউকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেন না তিনি। দু-হাত উজার করে দান করছেন অসহায়, দরিদ্রদের। সম্পূর্ন নিজস্ব অর্থায়নে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য মসজিদ, মাদরাসা, এতিমখানা নির্মান করেছেন। দরিদ্র রোগীদের চিকিৎসায় অকাতরে লক্ষ লক্ষ টাকা দান করছেন। কন্যা দায়গ্রস্ত দরিদ্র পিতার কন্যাকে বিয়ে দিচ্ছেন নিজের খরচে।

ভালুকার আনাচে কানাচে যেখানেই কোন আওয়ামীলীগ নেতা কর্মি অসুস্থ্য হচ্ছে সেখানেই তিনি ছুটে যাচ্ছেন, চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করছেন। ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের ডুনার বলা হয়ে থাকে আলহাজ্ব এম এ ওয়াহেদকে। মহামারি করোনার সময় উপজেলার প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে দরিদ্রদের মাঝে ত্রান পৌছে দিয়েছেন।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওমীলীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশি হিসেবে নিজের নাম ঘোষনা করেছেন। তারপরই উল্টে গেছে আগের সব হিসাব নিকাশ। বেশ জুরে শুরেই উচ্চারিত হচ্ছে আলহাজ্ব এম এ ওয়াহেদ এর নাম। তৃনমূলের অধিকাংশ নেতা কর্মী ও সাধারণ জনগণ আলহাজ্ব এম এ ওয়াহেদকে ভালুকার এমপি হিসেবে দেখতে চায় বলে জানিয়েছে আওয়ামীলীগের অনেক নেতা কর্মিগণ।

ভালুকা আঞ্চলিক শ্রমিক লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, এমএ ওয়াহেদ একজন জনবান্ধন, কর্মী বন্ধব নেতা। তিনি সবসময়ই নেতাকর্মীদের নিয়মিত খোঁজ খবর নেন। আপদে বিপদে পাশে দাঁড়ান। তাকে সংসদ সদস্য হিসেবে নমিনেশন দিলে বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন এবং ভালুকার আ’লীগ অনেক বেশি শক্তিশালী হবে।

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জাকির হোসেন শিবলী বলেন, ভালুকা আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে নমিনেশন পাওয়ার ক্ষেত্রে এমএ ওয়াহেদ সবার চেয়ে বেশি যোগ্য। আওয়ামীলীগের একজন নিবেদিত প্রাণ নেতা তিনি। তাকে সংসদ সদস্য হিমেবে নমিনেশন দিলে বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের প্রাণের দাবী এবার যেন তাকে মনোনয়ন দেয়া হয়।

এমএ ওয়াহেদ বলেন, তিনি মনে প্রাণে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অটল বিশ্বাস রেখে একজন অন্তঃপ্রাণ কর্মী হিসেবে দলের জন্য দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছেন। এবার তৃণমূলের নেতাকর্মী ও সাধারণ জনতার পক্ষ থেকে তাকে দলীয় নমিনেশন দেয়ার দাবী উঠেছে। তিনি দলকে সুসংগঠিত করে আগামীতে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও বেশি শক্তিশালী করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। ভালুকার মানুষের কাছে আমার চাওয়ার কিছু নাই। নেবার জন্য নয় ভালুকার মানুষকে দিতে এসেছি। মানুষের ভালোবাসাই আমার সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন। মানুষের ভালোবাসা নিয়েই যেন বাকিটা জীবন কাটিয়ে দিতে পারি। আর এ জন্য তিনি সকলের দোয়া ও সহযোগীতা কামনা করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com